চুলের যত্ন:
এই লিখাটিতে চুলের যত্ন নেওয়ার কার্যকর রহস্য উন্মোচন একটি ব্যাপক নির্দেশিকা দেওয়া হলো।
চুলের যত্ন আমাদের দৈনন্দিন রুটিন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা শুধুমাত্র আমাদের চেহারা নয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং সুস্থতাকেও প্রভাবিত করে। এই বিস্তৃত নির্দেশিকাটি স্বাস্থ্যকর, প্রাণবন্ত চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সেরা অনুশীলন, পণ্য এবং কৌশলগুলি আলোচনা করা হলোঃ
চুলের সৌন্দর্য বর্ধন ও স্বাস্থ্যবান করার মৌলিক বিষয়গুলো আপনাকে সহজে বুঝতে হলে আপনাকে একটি দৈনিক রুটিন করে নিতে হবে যাতে আপনি সহজে চুলের যত্নে আজ কি করবেন আগামীকাল কি করবেন তা বুঝতে পারেন।
১.চুলের যত্নে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারঃ
আপনার জন্য উপযুক্ত পণ্য কোনটি তা আগে আপনাকে বুঝতে হবে,আমাদের মাথার ত্বকে যদি অনেক খুশকি থাকে তাহলে আমরা এন্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করব।আর যদি খুশকি না থাকে তাহলে আপনার সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হবে যা আপনার চুলের জন্য মানানসই। আমাদের মাথার ত্বক কারো ক্ষেত্রে অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে, আবার কারো ক্ষেত্রে তৈলাক্ত হয়ে থাকে। যাদের মাথার ত্বক শুষ্ক তারা অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার করতে হবে। তবে এইদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কন্ডিশনার যাতে আপনার সরাসরি মাথার ত্বকে না লাগে, এটি চুলে লাগিয়ে ভালো করে পানি দিয়ে ওয়াশ করে নিবেন। যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা শ্যাম্পু করলেই হবে মাঝে মাঝে কন্ডিশনার করতে পারেন যা শুধু চুলকে সৌন্দর্য বর্ধন করবে। চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন আর কন্ডিশনার ব্যবহার করেন যাই করেন না কেন একটা ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এরপর আলতো ভাবে চুলের উপরের অংশে পানি গুলো জাস্ট মুছে নিবেন কোনভাবে বল প্রয়োগ করে চুল মুছবেন না।
২. চুলের যত্নে চুল আঁচড়ানো এবং স্টাইলিংঃ
চুল আঁচড়ানো অভ্যাস আমাদের মাথার ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর ফলে চুল থেকে যেমন ধুলাবালি গুলো ঝড়ে যায়, তেমনি আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত ও
অক্সিজেন চলাচল এর পরিমাণ ও বেড়ে যায়, এবং অপরদিকে মাথার ত্বকে ঘামানোর ফলে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড ও অন্যান্য অপদ্রব্য মাথার ত্বক থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল আঁচড়ানো ফলে আমাদের চুলের গোড়ায় থাকা একাধিক হরমোন ও সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড উজ্জীবিত হয় যার ফলে আমাদের চুল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর থাকে। তবে কখনোই বারবার চুল আঁচড়াবেন না, বারবার চুল আঁচড়ানোর ফলে চুলের মধ্যে ঘর্ষণ বল বেড়ে যায় যার ফলে চুল নষ্ট হতে থাকে এবং কেউ যদি গোসলের পর চুল আঁচড়িয়ে থাকেন তাহলে তা বাদ দিন কারণ চুলের গোড়া তখন নরম থাকায় চুল সহজেই ঝরতে থাকে।
৩. চুলের যত্নে খাদ্য ও পানিঃ
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাদ্য রাখতে হবে যা আমাদের চুলের সৌন্দর্য বর্ধনের কার্যকারী একক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
ডিম
প্রোটিন যুক্ত খাবারের একটি সহজলভ্য ও বড় উৎস হলো ডিম। ডিমের মধ্যে যে শুধু প্রোটিন থাকে তা নয় এতে আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার ও আয়রন। রক্তের আয়রন সহজেই রক্তকে চুলের গোড়ায় পৌঁছাতে ও অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করে। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি আয়রনের অভাবে দেখা দেওয়া রোগ, যেমন এনেমিয়া নারীর চুল ঝরে পড়ার একটি বড় কারণ।
বাদাম
বাদামে থাকা বায়োটিন উপাদানটি দ্রুত চুল বৃদ্ধি করতে এবং চুলের গোড়া কে মজবুত করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পালংশাক
পালংশাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলাইট। এই সবুজ শাকটি রুটিন মাফিক খেলে আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে যার ফলে চুলের ফলিকলে অক্সিজেন সহজে পৌঁছায়।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা ভিটামিন যা আমাদের মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় তেল তৈরি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব দেখা দিলে মাথার ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কতা এবং খুশকির মতো বাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেবু
ভিটামিন ‘সি’ যা চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। আমাদের শরীরের ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণে লেবু, কমলালেবু বা এই জাতীয় সকল ফল নিয়মিত খেতে হবে। লেবুর উপকারীতা সম্পর্কে আরো পড়ুন…
ডাল
ডাল এক প্রকার উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা আমাদের দেহের কোষ বৃদ্ধিতে কাজ করে। এটি চুলের নতুন কোষ বৃদ্ধিতে ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে অনেক সহায়তা করে। এতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও চুলের রুক্ষতা দূর করে।এ ছাড়াও, আমরা আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় গাজর, পাকা টমেটো, হাঁস বা মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, শশা, ক্যাপসিকাম, মরশুটি, ওটস, এবং পনির বা দুগ্ধ জাতীয় প্রোটিন খাবার রাখতে পারি যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সহযোগিতা করে।
চুলের হাইড্রেশন নিশ্চিত করুনঃ
গরম শীত উভয় কালে শরীরকে যেমন হাইড্রেটেড রাখা দরকার, তেমনি ত্বক ও চুলের জন্যও তাই।এটি প্রতিহত করতে, নিয়মিত আপনার চুলের হাইড্রেশন নিশ্চিত করুন। আর্দ্রতা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে এবং সমস্যা সমাধান করতে সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং করুন। সূর্যের আলো এবং বাতাস থেকে আপনার চুলের সমস্যা সমাধান করতে আপনি লিভ-ইন কন্ডিশনার ও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ও আপনাকে সব সময় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে যাতে আপনার শরীর এবং চুল কোনটাই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় না পড়েন তাই প্রতিনিয়ত ৩-৫ লিটার পানি পান করুন।
চুলের যত্নে ভিটামিনঃ
আমাদের নারী পুরুষের সৌন্দর্য বর্ধনে নির্বিশেষে চুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুন্দর, ঘন ও স্বাস্থ্যকর চুল আমাদের সম্ভাবনা ও আত্মবিশ্বাসকে উভয়কে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দিক উভয় ভাবেই প্রয়োজন। আর এই যত্নে আমরা প্রতিনিয়ত কোন না কোন পন্য বা ন্যাচারাল রেমিডি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু চুলের যত্নে বিভিন্ন পন্য ও রেমিডি ছাড়া ও ভিটামিন চুলকে স্বাস্থ্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন আমাদের চুলের বৃদ্ধি, চুলের যত্ন এবং তা পুনরূজ্জীবিত করতে সহযোগিতা করে থাকে।
চুলের যত্নে ভিটামিন A :
চুলের স্বাস্থ্য গঠনে ভিটামিন A এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি চুলকে চুলের গুণগত এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ড্রাই এবং অসুস্থ চুল পুনরূজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।চুলের কোষ বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ একটি অপরিহার্য খাদ্য, যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের স্কিন ও স্ক্যাল্পের গ্রন্থিগুলি ভিটামিন এ থেকে উপকৃত হয় যা সিরাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সিরাম (তেল) স্ক্যাল্প ময়শ্চারাইজ করে এবং চুলকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর রাখে। ভিটামিন A সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে যেমন মসুর ডাল, ক্যারট, স্পিনাচ ইত্যাদি যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
চুলের যত্নে ভিটামিন C:
চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন C আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কোলাজেন উৎপন্ন করে ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভুমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন সি তে রয়েছে এন্টিওক্সিডেন্ট ফ্রী র্যাডিকাল যা ড্যামেজ নিউট্রালাইজ করতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পের হেলথ ইম্প্রুভ করতে কাজ করে ও চুলের সাইন বা উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। পেয়ারা, স্ট্রবেরি, পেপে, ব্রকলি, কমলার মত ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে।
চুলের যত্নে ভিটামিন D:
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন D একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন ডি চুলের ফলিকল স্টিমুলেট বা পুনরূজ্জীবিত করতে কাজ করে থাকে। তাই আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে চুল পড়া ও চুলের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত সকাল বিকেলের সূর্যের আলো থেকে এই ভিটামিন পেয়ে থাকি। এছাড়াও যাদের সূর্যের আলোতে যাওয়া সম্ভব হয় না তারা ভিটামিন নিযুক্ত খাবার যেমন মসুর ডাল, মাছ, ডেইরি প্রোডাক্টস ইত্যাদি খাবার থেকে এটি সংগ্রহণ করতে পারেন।
চুলের যত্নে ভিটামিন E:
আমাদের স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প এবং স্বাস্থ্যকর চুল এর জন্য ভিটামিন ‘ই’একটি আনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি আমাদের চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, যা ড্যামেজ এবং চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে , তাদের মাথার স্ক্যাল্প অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা কম থাকে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে। ভিটামিন ই এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের পরিমাণ বড়াতে কাজ করে থাকে। আমরা বিভিন্ন খাবার যেমন সূর্যমুখী তেল, পিনাটস, স্পিনাচ ইত্যাদি থেকে ভিটামিন ই পেতে পারি। এছাড়াও নানান ধরনের তেল এবং সাপ্লিমেন্ট থেকেও আমরা এই ভিটামিন ই সংগ্রহ করতে পারে।সুন্দর, ঘন ও স্বাস্থ্যকর চুল আমাদের সম্ভাবনা ও আত্মবিশ্বাসকে উভয়কে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দিক উভয় ভাবেই প্রয়োজন। চুল হেলদি রাখার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আমাদের চুলের ধরন অনুযায়ী আমরা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার অয়িল ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারি। আমরা ভিটামিন ও পণ্যের পাশাপাশি হেলদি লাইফস্টাইল মেইন্টেইন করেও আমাদের চুলের যত্ন নিতে পারি। সর্বশেষে স্বাস্থ্যকর চুলে অবদান রাখে এমন অপরিহার্য ভিটামিন এবং পরিপূরকগুলি গ্রহণ করুন।
হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন :
চুলের যত্নে কার্লিং আয়রন এবং স্ট্রেইটনারের মতো হিটং খুব বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এটি আপনার চুলের সাধারণ অবস্থা থেকে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে, এটি চুলকে রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ করে দেয়। এর পরিবর্তে, চুলকে আলতো ভাবে মুছে বাতাসে শুকানোর চেষ্টা করুন।
চুলের যত্নে ক্লোরিন থেকে আপনার চুল রক্ষা করুনঃ
আপনি যদি পুলে সময় কাটানো বা গোসল করা পরিকল্পনা করেন তবে চুলকে ক্লোরিন থেকে বাঁচাতে ভুলবেন না। ক্লোরিন আপনার চুল থেকে প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দিয়ে থাকে , যা চুলকে শুষ্ক ও রুক্ষ করে দেয়। তাই আপনি পুলে নামার আগে এই টিপসটি ফলো করে নিন প্রথমে আপনার চুলকে পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে নিন যাতে যাতে চুল ও মাথার স্ক্যাল্প খুব বেশি ক্লোরিন শোষণ করতে না পারে। এছাড়াও আপনি সুইমিং ক্যাপ বা লিভ-ইন কন্ডিশনার অথবা হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে নিয়মিত চুল ছাঁটা :
নিয়মিত ট্রিম বা চুল ছাঁটা আপনার চুলকে সুস্থ রাখতে এবং ভেঙে যাওয়ার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মের মাস গুলিতে, চুলের শুষ্কতা এবং ভেঙে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে আপনার চুল নিয়মিত ট্রিম করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি যদি আপনি আপনার চুল বড় করার ইচ্ছে পোষণ করেন, তারপরেও আপনার চুলকে ভালো রাখতে ও ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত ট্রিম করা উচিত।
চুলের যত্নে নিয়মিত ব্যায়ামঃ
এছাড়াও চুলের যত্নে নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে যার ফলে আমাদের চুলের গ্রোথ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং চুল তার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সহজেই সংগ্রহ করতে পারে।স্বাস্থ্যকর, চকচকে চুল শুধু চেহারার বিষয় নয় এটি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রতিফলিত করে। সঠিক চুলের যত্নের রুটিন, পণ্য পছন্দ এবং জীবনধারা অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা বোঝার মাধ্যমে, আপনি আপনার চুলকে পুনর্জীবিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারেন।